কলকাতায় ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বাংলাদেশের ৫০তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

কলকাতা উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামসুল আরিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এরপর দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা

দ্বিতীয় ধাপে বিকেলে নতুন প্রজন্মসহ সর্বস্তরের জনগণকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিখায় আলোকিত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী-এর মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানে কলকাতা উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনাসভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ। এ মৈত্রী কেউ সহজে নষ্ট করতে পারবে না।

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতার ঘোষিত এ মূল মন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে।

আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফি আহমেদ।

আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুপম রায়সহ স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি এবং দূতালয় প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।