বছরের শেষে এশিয়ায় কেমন অবস্থানে থাকবে ভারতীয় রুপি

এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ মুদ্রা হিসেবে বছর শেষ করার পথে রয়েছে ভারতীয় রুপি। দেশটির জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কারণে এই পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে রুপি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এখবর জানিয়েছে।

বছরের শেষার্ধ্বে ভারতের স্টক মার্কেট থেকে ৪০০ কোটি ডলার প্রত্যাহারের কারণে রুপির দাম কমেছে ২.২ শতাংশ।

বিদেশিরা ভারতীয় বাজারের গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ ও নমুরা হোল্ডিংস কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব বাজারে অস্থিতিশীলতার মধ্যে ই ঘটনা ঘটে।

মুম্বাইয়ের আইসিআইসিআই ব্যাংক লিমিটেডের গ্লোবাল মার্কেটস, সেলস, ট্রেডিং ও রিসার্চ প্রধান বি. প্রসন্ন বলেন, মুদ্রানীতির ভিন্নতা এবং বর্তমান ব্যবধানের কারণে বছরের শেষ দিকে রুপির দাম কমেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়ার জন্য  দ্বিমূখী তলোয়ার। দুর্বল মুদ্রার কারণে মহামারির সংকট কাটিয়ে পুনরায় সচল হওয়ার পথে থাকা অর্থনীতির রফতানিতে সুবিধা দিতে পারে। আবার এটি আমদানির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ঘটাতে পারে। রেকর্ড কম সুদের হার দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য কঠিন করে তুলতে পারে।

কুয়ান্টআর্ট মার্কেট সল্যুশনের ধারণা মার্চের মেষে ডলারের বিপরীতের রুপির দরপতন হতে পারে ৭৮ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে এই দরপতনের রেকর্ড ছিল ৭৬.৯০৮৮ শতাংশ। ব্লুমবার্গের জরিপ ও বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসে রুপির দরপতন ৭৬.৫০ হতে পারে।