যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চান কফিল খান

ভারতের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপিকে জোর টক্কর দিতে ভোটে দাঁড়াতে পারেন চিকিৎসক কফিল খান।

২০১৭ সালে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের মুখে পড়েন ডা. কফিল খান। তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও গত বছরের ৯ নভেম্বর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এই চিকিৎসককে এবং এ নিয়ে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন কাফিল।

মঙ্গলবার সেই চিকিৎসক কফিল খান জানিয়েছেন, কোনও দল তাকে সমর্থন করলে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে গোরক্ষপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

‘আমি গোরক্ষপুরে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। যদি কোনও দল আমাকে টিকিট দেয় আমি প্রস্তুত,’ ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সাফ জানিয়েছেন চিকিৎসক কফিল খান।

ভোটে লড়ার জন্য কোনও দলের সঙ্গে বা নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আলোচনা চলছে। সব ঠিক থাকলে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।’

কফিল জানিয়েছেন, বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৮০টি পরিবারের শিশুরা মারা গিয়েছিল।

কফিলের অভিযোগ, তিনি গোরক্ষপুরে না থাকা সত্ত্বেও, তার ৭০ বছর বয়সী মাকে পুলিশ হেনস্তা করছে। তিনি বলেন, ‘আমি ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় এবং সেখানে আমার গতিবিধি জানাই যায়। বর্তমানে আমি মুম্বাইয়ে আছি। এখান থেকে আমি আমার বই ‘দ্য গোর্খাপুর হসপিটাল ট্রাজেডি- অ্যা ডক্টর্স মেমোইর অব অ্যা ডেডলি মেডিক্যাল ক্রাইসিস’-এর প্রচারের জন্য হায়দরাবাদ এবং ব্যাঙ্গালুরুতে যাবো। এখন অবধি ৫ হাজারের বেশি বই বিক্রি হয়ে বেস্টসেলার হয়ে উঠেছে এটি।

কাফিল বলেন, ‘২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর আমার বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে পুলিশ ২০ ডিসেম্বর এবং তারপরে ২৮ ডিসেম্বর এবং আবার জানুয়ারিতে আমার বাড়িতে যায়। পুলিশের কথা অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচনের কারণে আমার মতো মানুষদের তথ্য তালাশ চলছে।’

গোরক্ষপুরে ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হবে ৩ মার্চ।