শোকাচ্ছন্ন কলকাতা, বাজছে সুরসম্রাজ্ঞীর গান

ভোরের আলো ফুটতেই দুঃসংবাদ পেলো কলকাতা। লতা মঙ্গেশকর নেই, চিরবিদায় নিয়েছেন। সরস্বতী পুজোর পরদিনই এমন খবরে মুষড়ে পড়ে সংস্কৃতির শহর। বেলা যত বেড়েছে শোকের চাদরে মুড়েছে কলকাতা। এরইমধ্যে বাঘা যতীনের একটি ক্লাব সরস্বতী পুজোর মণ্ডপেই লতা মঙ্গেশকরের ছবি এঁকে পুজোর আয়োজন করে। উত্তর থেকে দক্ষিণ শহরের অলিতে গলিতে বাজছে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গান। যে গান শুনে বড় হয়েছে প্রবীণ থেকে নবীন। বর্তমান প্রজন্মও যার ব্যতিক্রম নয়।

এমনকি শোকের ছায়া বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশনেও। বেলুড় মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জানালেন, ৯০-এর দশকের গোড়ায় একদিন ভোরে আটপৌরে শাড়ি পরে লতাজি এসেছিলেন।‌ মঠের ঘাসের ওপর হাঁটতে হাঁটতে গুন গুন করে গান গাইছিলেন। মঠের এক সন্ন্যাসী চিনতে পেরে তাকে মন্দির পরিদর্শন করার আহ্বান জানান। তখন লতাজি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী ভূতেশানন্দজির সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রেসিডেন্ট মহারাজের পায়ের কাছে বসে তাকে প্রণাম করেন। চেয়ারে বসতে বলা হলেও তিনি মাটিতে বসে প্রেসিডেন্ট মহারাজের আশীর্বাদ নেন।

কলকাতার রাস্তায় লতা মঙ্গেশকরের স্মরণোৎসব। ছবি আঁকছেন শিল্পী

সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকার্ত ময়দানও। ১৯৮৮ সালে লতা এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। সে সময় ক্লাবের পক্ষ থেকে শিল্পীকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়। সেই উপহার পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রাক-প্ল্যাটিনাম জুবিলিতে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে অনুষ্ঠানও করেছিলেন তিনি। রবিবার বিকালে প্রয়াত শিল্পীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ক্লাবের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। রবিবার সারা দিন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।