ভোটের আগেই দুটি পৌরসভায় জয়ের হাসি তৃণমূলের

ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পশ্চিমবঙ্গের দুটি পৌরসভায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমের সাঁইথিয়া এবং বজবজ পৌরসভায় জয় পেয়েছে শাসকদলের। এখন পর্যন্ত দিনহাটার ৭টি ওয়ার্ড জয়ী ঘাসফুল শিবির। সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করে জয়ের আনন্দে মেতেছে শাসক শিবির।

বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া পৌরসভায় মোট ১৬টি ওয়ার্ড। প্রত্যেকটিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। ১, ৪ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তবে বাকি কোনও ওয়ার্ডে আর প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। বিজেপি ও কংগ্রেস একটি ওয়ার্ডেও প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল তৃণমূল। যদিও মনোনয়নপত্র যাচাই বাকি।

প্রার্থী দিতে না পারার কারণ হিসেবে বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব। যদিও কংগ্রেসের সাবেক চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষ দলটিরসাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন।

এর আগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে এই পৌরসভায় ব্যাপকভাবে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়ায় ব্যাপক জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত পৌরভোটে শুধু ৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় বিজেপি। বাকি আসনে জয়ের হাসি হাসে ঘাসফুল শিবির।

সাঁইথিয়ার মতো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বজবজ পৌরসভাতেও জয় পেয়েছে তৃণমূল। বুধবারই ছিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ২০টির মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ জয়ী ঘাসফুল শিবির।

কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জয়ের দোরগোড়ায় শাসক শিবির। ১৬টির মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। সেগুলো হলো– ১, ৩, ৯, ১২, ১৩, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। ৮ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ৪টি ওয়ার্ডে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে।

এই ফলাফলের পরই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর দাবি, তার মতো বিরোধী দলের প্রার্থীরাও হেনস্তার শিকার। তাই মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না কেউই।

তবে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার পালটা দাবি, বিজেপি ও বামেরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই পৌরভোটে পর্যুদস্ত তারা। সন্ত্রাসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।