শিলিগুড়িতে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ সিপিএম নেতার

নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসে এবার পশ্চিমবঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণে অভিযোগ করলেন রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। যদিও তার এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

ভোটের ফল প্রকাশের পর অশোক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘শিলিগুড়ির পৌরভোটে বামেদের রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান হয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভায় যে ভোটব্যাংক বিজেপিতে গিয়েছিল, এবার তা বামেদের ঘরে ফিরে আসার বদলে তৃণমূলের ঘরে ঢুকেছে।’

কিন্তু শুক্রবার একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তিনি বললেন, ‘বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলের উত্থান পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড়ই উদ্বেগের কারণ। তবে এবারের পৌর নির্বাচনে তৃণমূলই বিজেপির মতো কাজ করেছে। আমি বলব, পৌরনির্বাচনে বিজেপি যত না সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি করেছে তৃণমূল। বিভিন্ন ধর্মগুরু, ইমাম, নেপালি আর মতুয়া সম্প্রদায়কে উসকে দিয়েছে তারা। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়েছে। আমি যে ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখানে আমার হারার কথাই ছিল না। কিন্তু প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম ভোট চলে গেছে তৃণমূলে। কেউ ভাবেনি আমাদের এই ফল হবে।’

শুধু তাই নয়, নাম উল্লেখ না করে এই মেরুকরণের জন্য অশোক ভট্টাচার্য রাজ্যের এক মন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে কখনও দেখিনি হিন্দু ভোট আর মুসলিম ভোট আলাদা করে দেখা হচ্ছে। ভোটের আগে যে মন্ত্রী এখানে এসেছিলেন, তিনিই সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে নিয়ে গেছেন। ধর্মের নামে ভোট না হলে নিজের ওয়ার্ড থেকে কখনও হারতাম না আমি।’

প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ভোটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আলম খানের কাছে হেরেছেন তিনি।

অশোক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের সাবেক মন্ত্রী  ও নবনির্বাচিত মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘আমরা সব মানুষের কাছে গেছি। তৃণমূলকে জাতপাতের ভোট করে জিততে হয় না। অশোকবাবুরা এ সব বলতে থাকুন। এরপর মিউজিয়ামে এদের স্মৃতিসৌধ তৈরি হলে মানুষ দেখতে যাবে। তারা যত ভুল ব্যাখ্যা করবেন, তত দল নিচের দিকে যাবে।’