পেট্রাপোল সীমান্তে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিবছর এই দিনটিতে দুই দেশের ভাষাপ্রেমী মানুষেরা দেশভাগের কাঁটাতার উপেক্ষা করে একত্রিত হন। নোম্যান্সল্যান্ডে শহীদ বেদীতে মালাদান করে, যৌথ উদ্যোগে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে। দুই দেশে আলাদা ভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে দিবসটি।

কোভিড প্রটোকল এবং প্রশাসনিক নির্দেশে এই বছর দুই পারে দুদেশের মানুষ মিলিত হয়ে দিনটি উদযাপন করতে পারেননি। কিন্তু ভিন্নভাবে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।

এদিন সকালে ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েত -এর পক্ষ থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, তৃণমূলের দলনেত্রী আলোরানী সরকার,  ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিরাও আসেন। সকলেই মালা ও মিষ্টি নিয়ে উপস্থিত হন। শহীদ বেদীতে যৌথভাবে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে মাল্যদান করেন তারা।

আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা জানান, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও অনুপ্রেরণায় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভাষা দিবসের উদযাপন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও এ দেশের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এক অটুট সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন। যার ফল হিসেবে প্রতি বছর এই দিনটিতে দুই দেশ একত্রিত হন। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কারণে এই বছরটা সম্ভব হয়ে উঠেনি।