ত্রিপুরায় ৩ জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতার

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৩ সদস্যকে ত্রিপুরায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের গ্রেফতারকৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে এই তিন সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে তারা কি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করছিল, উঠেছে সেই প্রশ্ন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মার্চ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে জহিরউদ্দিন ও অখিল আহমেদ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। যারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, ইমরান হোসেন (২৪), হামিদ আলি (৩৪) ও আবুল কাশেম (৩২) জেএমবির সঙ্গে জড়িত। এই তিনজন ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার যাত্রাপুর থানার অন্তর্গত খাদ্যাখালা এলাকার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।

এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিশালগড় থানার পুলিশ তাদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় তারা জেএমবির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারও করে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর থানায় মামলা হয়েছে। তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে সিপাহিজলা জেলা আদালতে হাজির করে পুলিশ।

২ এপ্রিল রাত দশটা নাগাদ পুলিশের একটি বিশেষ টিম সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালায়। রাত আড়াইটার দিকে নাগাদ যাত্রাপুর থানার দিন বলাখলা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম থেকে মোট ৩ জনকে আটক করা হয়। জানা গেছে, এদের মধ্যে আবুল কাশেম ও হামিদ আলি নামের দুই ব্যক্তি যথাক্রমে বলাখলা মসজিদের ইমাম ও সেক্রেটারি।

আটক করার পর পুলিশকর্মীরা রাতেই সিপাহিজলা জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসে তিনজনকে। পরে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশালগড় থানায়। সেখানে সারাদিন দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরা করেন ক্রাইম ব্রাঞ্চ এসবি, আইবি, ডিআইবিসহ রাজ্যের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।