বিজেপি যুবনেতার মৃত্যু, মমতা সরকারের কাছে প্রতিবেদন চাইলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কলকাতায় বিজেপি যুবনেতার রহস্যজনক মৃত্যুতে মমতা সরকারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে কাশীপুরে পৌঁছান ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অর্জুন চৌরাসিয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান অমিত শাহ। এদিকে বিজেপি যুবনেতার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কলকাতায়।

কাশীপুরে পৌঁছে উপস্থিত সংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘‌অর্জুন চৌরাসিয়ার রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এটি জঘন্য হত্যা। গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের এক বছর হয়েছে। এরপরের দিনই রাজ্যে রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটলো। বিরোধী নেতাদের হত্যা একের পর এক উদাহরণ সামনে আসছে। আজই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি সুনিশ্চিত করবো। এ হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।’

কাশীপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‌বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে আদালতে লড়বে। অর্জুন হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। অর্জুনের দেহ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে পুলিশ। তার দিদিমাকেও মেরেছে। বাম আমলে যে হিংসা চলতো বাংলায় তার চেয়েও করুণ অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের সময়ে। ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসায় বিশ্বাস করে না। কিন্তু হিংসাকে ভয়ও করে না। লড়াই চলবে।’‌

বিজেপির যুবনেতা অর্জুন চৌরাশিয়ার ঝুলন্ত দেহ শুক্রবার সকালে উদ্ধার হওয়ার পর থেকে শাসক ও বিরোধীর বিবাদ চরমে পৌঁছেছে। অর্জুন কার?‌ এমন প্রশ্নে শোরগোল। বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলই অর্জুনকে নিজেদের বলে দাবি করছে।

এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে ময়নাতদন্তে স্থগিতের আর্জি জানানো হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর,‌ এ ঘটনার পর ময়নাতদন্ত আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিহত যুবকের মা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবারের দাবি, এটা রাজনৈতিক হত্যা। ময়নাতদন্ত এখনই না করে স্থগিতাদেশের দাবি করা হয়েছে।

নিহত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্ত হবে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন অর্জুনের মা লছমিনা চৌরাসিয়া। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।  

ময়নাতদন্তের সময় হাজির থাকবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট। পুরো প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।