যে ‘বড়’ সমস্যার সম্মুখীন ভারত

একবিংশ শতাব্দীতে স্থূলতা বড় একটি সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে বিশ্বব্যাপী। তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে মোটা হওয়ার দিকে এগিয়ে ভারতীয়রা। দেশটির সরকারের নতুন সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা ভারতীয়দের স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক করে বলছেন, নাগরিকদের স্থূল হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বড় সমস্যায় পরিণতের শঙ্কা রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে স্থূলতা বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে ভারতে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারত সরকারের নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সে দেশের বাসিন্দারা দিন দিন স্থূল হয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এতদিন স্থূলতা পশ্চিমা ধনী দেশের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এর আগে, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা বা কম ওজনের তকমা ছিল ভারতের। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের স্থূলতার চিত্রটা শীর্ষ পাঁচ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। 

২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাড়ে ১৩ কোটি ভারতীয় অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল সমস্যায় ভুগছেন। এখন আগের চেয়ে তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ভারতের জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা (এনএফএইচএস-৫)- এ এসেছে, ২০১৫-১৬ সালের জরিপের তুলনায় নারী ও পুরুষের ওজন বৃদ্ধির সংখ্যা চার শতাংশ বেড়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু স্থূলতার শিকার ভারতে।

স্থূলতার কারণে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ১৩ ধরনের ক্যান্সার, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের সমস্যাসহ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গত বছরই সারা বিশ্বে ২০ লাখের বেশি মানুষ মানুষ স্থূলতার কারণে মৃত্যু হয়েছে। তবে ভারতে এ সমস্যা মোকাবিলায় একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও স্থূলতাকে তেমন সমস্যাই ভাবছেন না নাগরিকরা।  

চেন্নাইয়ের সার্জন চিকিৎসক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ভারতে ও বিশ্বব্যাপী একটি স্থূলতার মহামারির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা। স্বল্প সময়ের মধ্যে এটির সমাধান করা সম্ভব না হলে, এটি মহামারি হয়ে উঠতে পারে।