জেলের মেঝেতেই ঘুমাতে হচ্ছে পার্থকে, পাননি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা

কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব। পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ম্যান। শিক্ষা দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সেই হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা না পেয়ে সাধারণ কয়েদিদের মতোই এখন জেলে থাকতে হচ্ছে পার্থকে।

শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডির বিশেষ আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয় তাকে। সংশোধনাগারের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র কয়েক ফিট লম্বা দুই নম্বর সেলে তিনি। এটিই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সব থেকে নিরাপদ সেল। মেঝেতেই রাত কাটাতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখানে থাকতে হবে ১৪ দিন।

জেল সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি মাথায় রেখে সেলের সামনে বসানো হতে পারে সিসিটিভি ক্যামেরা। শনিবার (৬ আগস্ট) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীদের মধ্যে একজন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। যদিও ওই আইনজীবী ও সংবাদমাধ্যমের সামনে কী কথা হলো, এ নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

শুক্রবার জেলে ঢোকার সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পার্থকে পরীক্ষা করেন কারারক্ষীরা। জানতে চান, তার কাছে কিছু আছে কী না? জবাবে পার্থ বলেন,‘এ জীবনে আর কী আছে।’ কেউ পাশে নেই! পার্থ'র এমন আক্ষেপ শুনে শনিবার তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মদন মিত্র বলেছেন, ‘কোনও কোনও সময় একাই থাকতে হয়। একা চলা শিখতে হয়।’