কয়লাপাচার মামলায় জড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী

দিনভর সিবিআই তল্লাশি চললো পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কয়লাপাচার মামলায় মন্ত্রীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) একাধিকবার তলব করলেও মাত্র একবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তবে বুধবার সকাল থেকে কলকাতায় তার সরকারি বাসভবনে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো তাকে। এ দিন বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই কর্মকর্তারা। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে মুখ খুলেননি মলয় ঘটক। কিছুক্ষণ পরে আবার ইডি’র নোটিস পেলেন তিনি।

কয়লাপাচার মামলায় অনেক দিন ধরেই গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের টাকা থেকে কোনোভাবে মন্ত্রী লাভবান হয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে চান কর্মকর্তারা।

সূত্রের খবর, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মলয়কে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। আগেই মলয়কে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।

বুধবার ময়ল ঘটকের বাসভবনসহ মোট ৬ টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতা ছাড়াও আসানসোলের তিনটি বাড়িতেও গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার টিম। মূলত নথিপত্রের খোঁজেই গোয়েন্দারা গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে, কী নথি উদ্ধার করা হলো, তা জানা যায়নি। এ দিন মন্ত্রীর হিসাবরক্ষকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।

বিকেলে মলয় ঘটক গাড়িতে চেপে বেরিয়ে আসেন বাসভবন থেকে। সাংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাকে ঘিরে ধরলে কয়েকবার গাড়ির কাঁচ নামিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলবেন না তিনি।

অন্যদিকে, আসানসোলের একটি বাড়িতে ছিলেন মলয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। সেই বাড়িতে আলমারি ভাঙার লোকও ডাকতে দেখা যায় এ দিন। তল্লাশি শেষ হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রী জানান, তার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করেছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।

সুদেষ্ণা ঘটকের দাবি, তল্লাশি চালিয়ে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি গোয়েন্দারা। তারা নাকি এমনও বলেছেন, ‘মন্ত্রীর বাড়ি বলে বোঝাই যাচ্ছে না।’ আর আলমারি ভাঙার লোক?  সুদেষ্ণা দেবীর দাবি তিনি নিজেই ডেকে এনেছিলেন তাদের। চাবি হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে আলমারি ভাঙতে হয় বলে দাবি করেন তিনি।