কলকাতায় শুরু ইউনেস্কোর হেরিটেজ দুর্গাপূজা

পঞ্চমীতে জনজোয়ার কলকাতা মহানগরীতে। উত্তরে বাগবাজার সর্বজনীন থেকে দক্ষিণে ম্যাডক্স স্কয়ার বা একডালিয়া এভারগ্রিন! ছবিটা সব জায়গায় একই। আলোর বন্যায় ভাসছে শহর, উৎসাহী জনতার প্রাণের উচ্ছ্বাস। করোনা, ডেঙ্গুর কালো ছায়া এখনও ঘিরে আছে। কিন্তু ‌থোড়াই কেয়ার! মহামারি নিয়ে ঘর করে বাঙালি, মন্বন্তরে নিঃশেষ হয়নি এ জাতি। শুধু মহানগর নয়, বাংলাজুড়ে এখন শারদ আনন্দ।Tridhara Crowd3

শহর কলকাতায় পুজো ঘিরে অন্য মেজাজ। থিমের বৈচিত্র্য, মণ্ডপ আর আলোর সজ্জায় নতুনত্বের ছোঁয়া অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে কলকাতার দুর্গোৎসবে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এবারের দুর্গাপুজোয় বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি করেছে। এক মাস আগে থেকেই পুজোর আবহ। গত ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে ধন্যবাদ জানাতে মহানগরীতে শোভাযাত্রা হলো।Ballygunge Culture

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‌শুধু হাঁটলেন না, সংবর্ধিত করলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। উত্তর শহরতলীর বরানগরে বাংলায় প্রথম সিলিকনূর প্রতিমা তৈরি হয়েছে, আবার সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পুজোর থিম ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’। এখানে ‘আলোয়-আবহে’ তুলে ধরা হচ্ছে দিল্লির ইন্ডিয়া গেট, লালকেল্লা এবং সংসদ ভবন।Crowd

শ্রীভূমি স্পোর্টিং এবার ভ্যাটিক্যান সিটির আবহ তৈরি করেছে মণ্ডপে। গত বছর এদের অবদান ছিল ‘বুর্জ খলিফা’। এবারও দ্বিতীয়া থেকে মানুষের ঢল এখানে। শুধু এখানেই নয় শহরের সব নামী মণ্ডপেই জনস্রোতের ঘর। মেট্রো রেলের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দক্ষিণেশ্বর কবি সুভাষ রুটে সাত লাখের বেশি যাত্রী চতুর্থীতে যাতায়াত করেছেন।Tridhara Sangha3

উৎসব কেবল শুরু। তবে আশঙ্কার মেঘ একটাই, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সপ্তমী থেকে দশমীতে বৃষ্টি পুজো মাটি করতে পারে। তবে কুছ পরোয়া নেই, রেইনকোট, ছাতাকে সঙ্গী করে বেরিয়ে পড়বে বাঙালি। পুজো তো বছরে একবারই আসে।