কলকাতায় শেখ রাসেল-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ভারতের কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে এ উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। খবার বিতরণ করা হয়েছে অনাথ ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শেখ রাসেলের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কলকাতা নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামসুল আরিফ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক)। আলোচনা সভায় মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, শেখ রাসেলের জন্ম হয়েছিল এক অশান্ত সময়ে যে সময় তাকে তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত করে তুলেছিল। পারিবারিক পরম্পরায় তিনি সেই বয়সেই যেন বার্টান্ড রাসেলের দর্শনকে ছুয়ে এগিয়ে চলছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর শারীরিক যন্ত্রণার আগে তার প্রিয়জনের রক্ত দেখানোর যন্ত্রনা থেকেও তাকে নিস্তার দেওয়া হয়নি। আগামীর শিশুদের একটা আনন্দময় পৃথিবী দেওয়াই হোক শেখ রাসেল দিবস পালনের লক্ষ্য।

প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পিতার অর্জনকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করার মাধ্যমে পিতৃত্বের দায়শোধের অনন্য উপমা সৃষ্টি করেন তখন বলাই বাহুল্য পিতার সবচেয়ে আদরের সর্বকনিষ্ঠ, বুদ্ধিদীপ্ত, অদম্য শিশু রাসেল পিতার অর্জনকে কত উচ্চতায় নিতে পারতেন, ঘাতকরা সেটা বুঝেছিল। তাইতো ১৫ই আগস্টের সর্বশেষ শহিদের নাম শেখ রাসেল।

উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, শেখ রাসেল একটি স্বপ্নের নাম, যে স্বপ্ন আজকের বাংলাদেশ। একটি ছোট ছেলে, যাকে নিয়ে সবার আশা ছিল যে, সে বড় হয়ে দেশ গড়বে, তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। নির্মম বুলেট শুধু তাকেই কেড়ে নেয়নি, কেড়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের স্বপ্নকেও, কিন্তু বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি সেই স্বপ্ন পূরণের পথে, বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে।

পরে শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। কবিতা আর গানে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জানায় কলকাতায় অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও।