কলকাতা বইমেলায় বঙ্গভবনের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবার হচ্ছে ঢাকার বঙ্গভবনের আদলে। ৩০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বইমেলা। যা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা।

প্রতিবছরের মতো এবারও ৪ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় উদযাপন হবে ‌‘বাংলাদেশ দিবস'। এদিন একটি সেমিনারে অংশ নেবে দুই বাংলার বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকরা। এ ছাড়া বর্ণাঢ্য এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সংগীত পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ বিশিষ্টরা।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বাণিজ্য শাখার প্রথম সচিব শামসুল আরিফ জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো এবারও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ এবং আমরা আশাবাদী প্রতিবারের মতো ৪৬তম কলকাতা বইমেলায়ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের ঢল নামবে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি পশ্চিমবঙ্গবাসী বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের বই পড়তে যথেষ্ট পছন্দ করেন। আমরা আশাবাদী বাংলাদেশি প্রকাশক থেকে পশ্চিমবঙ্গের পাঠক-দুই পক্ষ এবারও কেউ নিরাশ হবেন না। এ জন্য আমাদের প্যাভিলিয়নে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এবারে ৪৬তম কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি ‘স্পেন’। থাকছে নয়টি প্রবেশদ্বার। তার মধ্যে একটি দ্বার স্পেনের তোলেদো গেটের আদলে হচ্ছে। স্পেন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার থিম কান্ট্রির মর্যাদা পেল। এর আগে ২০০৬ সালে বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে স্পেন অংশগ্রহণ করেছিল।

বইমেলা উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্পেনের মন্ত্রী মারিয়া খোসে গালবেজ সালভাদর, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়৷ কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা এবং স্পেন ও বাংলার কবি-সাহিত্যিক গুণীজন।