ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে বিতর্ক জন্ম দিলেন বিজেপির মন্ত্রী

ভারতের কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী ‘শহীদ’ নন, তাদের মৃত্যু ছিল নেহাতই দুর্ঘটনা। এমন বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিলেন উত্তরাখণ্ডের বিজেপির এক মন্ত্রী গণেশ যোশি। তিনি দাবি করেন, দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন ভগৎ সিং, সাভারকাররা। কিন্তু গান্ধী পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে তাকে দুর্ঘটনাই বলতে হবে।

শ্রীনগরে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্য ঘিরে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রশ্নে কৃষি প্রতিমন্ত্রী যোশি বলেন, শহীদ হওয়া গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভগৎ সিং, সাওয়ারকর এবং চন্দ্র শেখর আজাদের শাহাদাত দেখেছে ভারত। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ছিল দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা আর শহীদের মধ্যে পার্থক্য আছে।

তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর জোড়ো যাত্রার সুষ্ঠু সমাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধরার বিলুপ্তি না করলে রাহুলের পক্ষে লালচকে দাঁড়িয়ে তেরঙা ওড়ানো সম্ভব হতো না বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে খুন হন ইন্দিরা গান্ধী। এরপর ১৯৯১ সালের ২১শে মে দক্ষিণ ভারতে এক নারী এলটিটি কর্মীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধী। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সময় তার ওপর এক তামিল গেরিলা এই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ৮৪ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকাকালে তিনি ভারতীয় বাহিনী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার এলটিটি বিদ্রোহীদের দমনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বলা হয়, রাজীব আবারও সেনা পাঠিয়ে বিদ্রোহ দমন ঠেকাতেই তাকে হত্যার নির্দেশ দেন এলটিটি প্রধান প্রভাকরণ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সরকার এক ঘোষণায় জানায়, অবশেষে তারা বিদ্রোহী তামিল সংগঠন এলটিটির প্রধান প্রভাকরণকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি