নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে তৃণমূল চুপ

মমতা ও তৃণমূলের পতাকাজওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ঘটনায় ভারতের বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেও মুখে কুলুপ এঁটে আছে তৃণমূল। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও দলটি নীরব ছিল। অন্য বিরোধী দলগুলো জেএনইউ-কাণ্ডে সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করে। কিন্তু তৃণমূল ব্যস্ত ছিল আগামী বাজেট অধিবেশনে সংসদে শাসক-বিরোধীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা নিয়ে।
শুক্রবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে সরব হয় বাম, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিজেপি-বিরোধী দল। সেই সময় থেকেই নীরব ছিল তৃণমূল। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পরে ওই শহরে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। এ দিনের বৈঠকে সেই ডেরেকও হাজির ছিলেন। অথচ চুপ ছিলেন কানহাইয়া প্রসঙ্গে।
বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সরোজিনী নাইড়ু থেকে জগজিৎ সিংহের জন্মতিথি, অভিষেক বচ্চনের জন্মদিন থেকে মিয়ানমারে আং সান সুচির জয়— এমন যে কোনও বিষয়ে টুইট করতে যে তৃণমূল নেত্রী এগিয়ে থাকেন, তিনি জেএনইউ নিয়ে এমন তোলপাড়ের পরও মৌন কেন? এ দিন ফের সেই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে। যদিও সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ডেরেক বলেন, ‘জেএনইউ নিয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।’
তবে জেএনইউ নিয়ে চুপ থাকার জন্য কংগ্রেস ও বামরা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হাত শক্ত করতে চাচ্ছে তৃণমূল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

/এজে/