সীমান্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করলো ইরাক-ইরান

সীমান্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করেছে ইরাক ও ইরান। ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রবিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বাগদাদ বলছে, প্রাথমিকভাবে ইরাকের কুর্দি অঞ্চলের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করাই তাদের লক্ষ্য। অন্যদিকে কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে বর্ণনা করেছে তেহরান।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি ও ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল-আরাজি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুদানি।

স্বাক্ষরকারী এক ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা চুক্তির অধীনে প্রতিবেশী ইরানে হামলা চালানোর জন্য ইরাকি কুর্দি অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না ইরাক।’

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, শামখানি উত্তর ইরাকে বিপ্লবী সংগঠনগুলোর পৈশাচিক কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি ফলে এসব গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে এবং মৌলিকভাবে শেষ করতে পারে।’

ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ইরানি কুর্দি সংগঠন সক্রিয়। ইরানের অভিযোগ, তারা পশ্চিমা বা ইসরায়েলি স্বার্থের জন্য কাজ করছে।

সীমান্তটি গত বছর নতুন করে আলচনায় এসেছিল যখন ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা উত্তর ইরাকে অবস্থিত ইরানি কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা শুরু করে। এ ছাড়া পুলিশি হেফাজতে ইরানি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর কুর্দিদের সঙ্গে ইরান সরকারের সম্পর্ক চরম অবনতি হয়। সূত্র: আল জাজিরা