তাপপ্রবাহে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, ধুঁকছে মানুষ

রোদের তেজে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতায় শুক্রবার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে। ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধুঁকছে বাঁকুড়া, বর্ধমান। 

সাত বছর পর গ্রীষ্মে এমন তাপমাত্রা দেখছে কলকাতাবাসী। ২০১৬ সালের ১ মে’র পর শুক্রবার প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছায়। সোমবার পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। ১৭ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবারের পর থেকে পরবর্তী দু’দিন পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হলেও হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ৪-৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে কমলা সতর্কতা জারি থাকবে। এখনও কোনও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত কম। বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে না। তার জেরেই বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হচ্ছে না।

 

 

এবারে এমন অতিরিক্ত গরমের কারণে রাজ্য সরকার গরমের ছুটিও এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২ মে থেকে গরমের ছুটিতে যাবে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলো।

‘লু’ থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েকটি সতর্কতাও জারি করেছেন আবহাওয়াবিদরা। দুপুর ১২টার পর থেকে রাস্তায় বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

 

এবার গরমটা যেন অন্য রকমের। শুকিয়ে যাচ্ছে ঠোঁট-হাত-পা। নাক জ্বালা করছে গরম হাওয়ায়। আবার অনেকেই বলছেন নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। বাইরের গরম হাওয়ায় শরীর জ্বালা করছে।

তবে গরম হলেও ঘামের রেশ পর্যন্ত নেই। এমন গরম আগে দেখেননি শহরবাসী। কলকাতার গরম সাধারণ ঘর্মাক্ত হয়। ঘাম বেশি হয়। তার জন্য অস্বস্তি বেশি থাকে। এই প্রথম এমন গরম দেখছেন শহরবাসী। এ রকম গরম বিহার-উত্তর প্রদেশে সচরাচর দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও দেখা যায়। তবে কলকাতায় এই প্রথম।