বিপর্যয়-এর প্রভাবে গুজরাটে ভারী বর্ষণ

গুজরাতের সৌরাষ্ট্র উপকূলে জখাউ বন্দরের কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তা বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান ড. এম. মহাপাত্রা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়া শুরু হয়েছে। এটি এখনও ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এবং উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। মধ্যরাতে তা সাগর অতিক্রম করে স্থলভাগে আঘাত হানবে। 

এর আগে ঘূর্ণিঝড়টিকে 'ক্যাটাগরি ৩' বলে ঘোষণা করা হয়। যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্বীকৃত। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত। স্থানীয় সময় দশটায় এটি আঘাত হানতে পারে। এটির বর্তমান গতি ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার।

বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে পারে কেরালা উপকূলেও। রাতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভিঝিনজাম থেকে কাসারাগোড় পর্যন্ত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে প্রবল ঢেউ। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৩ থেকে ৩ দশমিক ৩ মিটার। 

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১৮টি টিম এবং রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি টিম এবং রাজ্যের সড়ক ও ভবন বিভাগের ১১৫টি টিম এবং রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি টিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে অবস্থান করছে।

এনডিআরএফ মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী। প্রতিবেশী রাজস্তান, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকও আক্রান্ত হলে সহযোগিতা চেয়েছে। রাজস্তানের দক্ষিণাংশে প্রভাব পড়তে পারে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয়দের সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত উপকূলে মাছ ধরা বাতিল করা হয়েছে। বন্দরগুলো বন্ধ করা হয়েছে। সবগুলো জাহাজ নোঙর ফেলেছে।