আসামে প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা, বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই

টানা ভারী বৃষ্টিতে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অবিরাম বৃষ্টিতে রাজ্যজুড়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যদিও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১২ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ৩৩ হাজারে নেমে এসেছে।

আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) দৈনিক বন্যা প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কাছাড়, দাররাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, হোজাই, লখিমপুর, নগাঁও, নলবাড়ি, সোনিতপুর, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলায় বন্যার কারণে ৩৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার পর্যন্ত আসামের ৮ জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্যায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।

লখিমপুরে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। এ জেলায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ভুগছেন। তারপরেই আছে ডিব্রুগড়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০। আর তিনসুকিয়ায় প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রশাসন তিন জেলায় ১৬টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ছাড়াও একটি ত্রাণ শিবির চালু করেছে। তবে সেখানে বর্তমানে কেবল ৯ জন অবস্থান করছেন।

এএসডিএমএ জানিয়েছে, বন্যায় বর্তমানে ১৪২টি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে। আসামজুড়ে এক হাজার ৫১০ দশমিক নয় আট হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা এবং উদালগুড়ি জেলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও ও করিমগঞ্জ থেকে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।

 

 

এ ছাড়া সোনিতপুর, লখিমপুর, কাছাড়, ধেমাজি, গোয়ালপাড়া, নগাঁও, উদালগুড়ি, চিরাং, ডিব্রুগড়, কামরুপ, কার্বি আংলং, করিমগঞ্জ, বোঙ্গাইগাঁও, মাজুলি, মরিগাঁও, শিবসাগর এবং দক্ষিণে বন্যার পানিতে বাঁধ, রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নেয়ামতিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ, এনএইচ রোড ক্রসিং-এ এর উপনদী পুথিমারি এবং কামপুরের কপিলি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আজ) রবিবার ‘রেড’ সতর্কতা জারি করেছে। আগামী পাঁচ দিনে আসামের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘খুব ভারী’ থেকে ‘অত্যন্ত ভারী’ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এক বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, গুয়াহাটিতে আইএমডির আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএমসি) রবিবার এবং সোমবারের জন্য ‘রেড’ সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুব ভারী বৃষ্টিপাত হতে কোকরাঝাড়, চিরাং, বাক্সা, বারপেটা এবং বোঙ্গাইগাঁও জেলাগুলোতে।

সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া