কলকাতা প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার ইন্দো বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন (ভারত) আয়োজিত ‘শিকড়ের সন্ধানে ভারত ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বিদগ্ধ জন, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, লেখক, আইনজীবী ও সমাজকর্মী।
বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. গোপাল মিশ্র, কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ড. পঙ্কজ রায়, চন্দননগর গভ. কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবাশীস সরকার , সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক ড. পবিত্র দেবনাথ, আমেরিকাবাসী বাঙালি গবেষক-লেখক, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে নিযুক্ত সংগঠক কাঞ্চন ব্যানার্জী, আইনজীবী গোপাল মন্ডল, স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ প্রফুল্ল চাকীর প্রপৌত্র সুব্রত চাকি, চিত্র পরিচালক সাধন তালুকদার, কবি মিলি দাস, সমাজকর্মী সুবীর রায় চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উপস্থিত প্রায় সবাই সদ্য পুনর্গঠিত হওয়া এই সংগঠনের সদস্য ও পদাধিকারী। মাত্র দশ দিনের চেষ্টায় আশি জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সংগঠনের সদস্য হয়েছেন এবং আগামী ছয় মাসে এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে সভায় আশা ব্যক্ত করেন সংগঠন ও আলোচনা সভার সভাপতি কাজি মাসুম আখতার। তিনি প্রথমে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, দুটি দেশের কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানবিক মিলনের মন্ত্রে এই সংগঠন সেতু হিসেবে এবং এই সংগঠনের বাংলাদেশে অবস্থিত পুনর্গঠিত পরিপূরক কমিটিকে নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে চায়।
সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা তার বক্তব্যে সহমত পোষণ করেন। বক্তারা সেমিনারের টপিকের ওপর তাদের প্রাঞ্জল ও বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন। আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে আগত ছাত্র ও রোগীদের কলকাতাসহ ভারতে যেসব সমস্যায় পড়তে হয়, তা নিরসনে এই সংগঠনকে ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
বক্তারা দুই দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকসহ সর্বক্ষেত্রে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে এই সংগঠনকে ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান।
সভাপতি আখতার ও সভার কনভেনর সুবীর রায়চৌধুরী ইন্দো বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের দুই দেশের সদস্য হওয়ার ন্যূনতম মানদণ্ড উল্লেখ করে বলেছেন, উভয় দেশের প্রতি সহজাত প্রীতি, সততা, শিক্ষা, সহিষ্ণুতা, সংস্কৃতিবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা, ত্যাগ ও তিতিক্ষা এই সংগঠনের সদস্য হওয়ার মূল শর্ত।
এই সংগঠনকে ব্যবহার করে কারও ব্যক্তি স্বার্থ, অসাধুতা বা ভণ্ডামি প্রকাশিত হলে সংগঠন থেকে সেই ব্যক্তিকে শুধু বহিষ্কার নয়, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।