তামিলনাড়ুতে বন্যায় ৩ জনের প্রাণহানি, আটকা পড়েছেন ৫০০ ট্রেন যাত্রী

তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের তুতিকোরিন জেলায় আটকে পড়েছেন ৫০০ ট্রেন যাত্রী। বন্যায় রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ভারতের বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য উদ্ধারকারীরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

তুতিকোরিন জেলার শ্রীবৈকুন্তম রেলওয়ে স্টেশনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ যাত্রী আটকা পড়েছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে স্টেশনটি প্লাবিত হয়েছে । ভারতীয় বিমান বাহিনী আটকে পড়া ট্রেন যাত্রীদের জন্য বিমান থেকে ত্রাণ সামগ্রী ফেলার কাজ শুরু করেছে। অসুস্থ যাত্রীদের আইএএফ হেলিকপ্টার দিয়ে এয়ারলিফট করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাউদার্ন এয়ার কমান্ড ত্রাণ মিশনে তাদের হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। সুলুর এয়ার ফোর্স স্টেশন মানবিক সহায়তা দুর্যোগ ত্রাণ অপারেশনের জন্য কাজ করছে। বিমানবাহিনী তিরুনেলভেলি এবং থুথুকুডি জেলায় খাদ্য ও চিকিৎসা বিমান থেকে সরাসরি এয়ার-ড্রপ করছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী থুথুকুডির ভাসাভাপ্পাপুরম এলাকা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানুষদের উদ্ধার করছে। এলাকা থেকে প্রায় ১১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন।

কন্যাকুমারী, থুথুকুডি, টেনকাসি এবং তিরুনেলভেলি দক্ষিণের এই চারটি জেলা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তুতিকোরিন জেলার মাত্র ১৫ ঘণ্টায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তিরুনেলভেলি জেলার পালায়ামকোট্টাইয়ে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে কন্যাকুমারীতে ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই চার জেলায় সাত হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।