স্মৃতি ইরানিকে পদত্যাগ করতে বললেন কানহাইয়া

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন কানহাইয়া কুমারজওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। মঙ্গলবার ‘রোড ফর ডেমোক্র্যাসি’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ মিছিলের আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচ দফা দাবিতে ওই ‘আজাদি’ প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কথিত ‘রাষ্ট্রদ্রোহে’ অভিযুক্ত কানহাইয়া। প্রতিবাদ মিছিলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে একটি স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ।  এ সম্পর্কে কানহাইয়া বলেন, ‘আমরা স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাই। সেই সঙ্গে সিডিশন আইন বাতিল, জেলে আটক দুই শিক্ষার্থীর মুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপ না করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতিবর্ণ রাজনীতি বন্ধে আইন করার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদ মিছিলটি মান্ডি হাউজ থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করার কথা জানা গেছে।
জেএনইউ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে কানহাইয়া বলেন, ‘আমি একটি শো-কজ নোটিস পেয়েছি, কিন্তু তাতে বহিষ্কারের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’
এর আগে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) এক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে ৯ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্যসহ ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সুপারিশ কার্যকর হবে কি না, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন উপাচার্য এম জগদীশ কুমার ও চিফ প্রোক্টর এ ডিমরি।

সোমবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের বৈঠকে তদন্ত কমিটির পেশ করা প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হয়। তার ভিত্তিতে ২১ জন শিক্ষার্থীকে ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কানহাইয়া, উমর এবং অনির্বাণও রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-রীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ২১ জনের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৯ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী হিসেবে পরিচিত আফজাল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে বিতর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজন ও তাতে দেশবিরোধী বক্তব্য ও স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি বামপন্থী ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। চলতি মাসের ২ তারিখ দিল্লির হাইকোর্ট কানহাইয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু উমর এবং অনির্বাণ এখনও জেলে বন্দি রয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি।  

/এসএ/এএ/