টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকেও আকাশের মুখ ভার ছিল। কখনও ঝিরঝির করে, কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশার উপকূলে এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। এর ফলে উত্তাল হবে সমুদ্র। আরও ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমেছে। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে ১২০ মিলিমিটার, বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ৯০ মিলিমিটার, বাঁকুড়ায় ৬০ মিলিমিটার, বহরমপুরে ৫০ মিলিমিটার, উলুবেড়িয়ায় ৩০ মিলিমিটার, বসিরহাটে ৫০ মিলিমিটার এবং ক্যানিংয়ে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে।
বুধবারও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। সপ্তাহভর মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তার আগে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বিশেষ উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি জেলাগুলোতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।
শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির দাপট কিছুটা কম থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে। আগামী সোমবার আবার ভারী বর্ষণের সতর্কতা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে কালিম্পঙে। এ ছাড়া জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদহের দুয়েক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।