যৌন নিপীড়নে শিকার হওয়ার কথা অস্বীকার করলেন কাশ্মিরি কিশোরী

সেনা সদস্যের হাতে যৌন নিপীড়নের কথা অস্বীকার করলেন কাশ্মিরি কিশোরী। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পুরো কাশ্মিরজুড়ে সহিংসতা পড়েছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর: প্রাণহানিতে অচল কাশ্মির, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি

জম্মু-কাশ্মির পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হান্দাওয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করা ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবাকে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে কিশোরী জানান, ১২ এপ্রিল স্কুল ছুটির পর বন্ধুদের সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে একটি পাবলিক টয়লেটে তিনি প্রবেশ করেন। সেখান বের হতে না হতেই তার গতিরোধ করে দাঁড়ায় দুই যুবক। তাদের মধ্যে একজনের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিল। দুই যুবক তার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বিমানে পাশের যাত্রীর সঙ্গে মুসলিম নারীর আসন পাল্টানোও ভীতিকর!

জম্মু-কাশ্মিরের হাইকোর্টের আদেশে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ওই স্কুলছাত্রীর মা তাদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

এক ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে এক কাশ্মিরি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগ উঠলে হান্দাওয়ারাতে শুরু হয় বিক্ষোভ। দ্রুত তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজ্যে। মঙ্গলবার বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো গুলিতে সত্তরোর্ধ্ব এক নারী এবং এক উদীয়মান ক্রিকেটারসহ ৩ জন নিহত হন। বুধবার কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাত নিহত হন আরেক বিক্ষোভকারী। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর, হান্ডওয়ারা ছিল সবচেয়ে উত্তপ্ত।

আরও পড়ুন: ৭৫ বছর বয়সী রাজনীতিবিদের এমএ পরীক্ষা

প্রশাসন শ্রীনগর, হান্ডওয়ারা এবং আশেপাশের গ্রামে কারফিউ জারি করেছে। সেই সঙ্গে শ্রীনগর, কুপওয়ারা, বারামুলা, বান্দিপুরা এবং গান্দেরবাল জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।সূত্র: এনডিটিভি।

/এএ/