অস্ত্র প্রতিযোগিতায় উত্তর কোরিয়ার চেয়ে পিছিয়ে জাপান

জাপানের সেল্ফ ডিফেন্স বাহিনীর কয়েকজন সদস্যদুই দশকে মিসাইল প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ঘটিয়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জাপানের চেয়ে এগিয়ে গেছে ‍উত্তর কোরিয়া। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার মিসাইল হামলা ঠেকানোর সক্ষমতা জাপানের নেই বলে মনে করে টোকিওর একটি সামরিক সূত্র। বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

১৯৯৮ সাল থেকেই অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় জাপান ও উত্তর কোরিয়া। ওই সময় উত্তর কোরিয়া জাপানে একটি মিসাইল নিক্ষেপ করে।  উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন-এর নেতৃত্বে চলতি বছরেই ২১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে দেশটি। অপ্রত্যাশিত এ অগ্রগতি প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপানি সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার বলেন, ধারণার চাইতে দ্রুত অগ্রগতি তাদের। আমাদের বর্তমান মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামর্থে্যর একটি সীমা রয়েছে।

উৎপাদন সূচির বাধা ও বাজেট স্বল্পতার কারণে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতিও আনতে পারছে না। ফলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্টের ওপর নির্ভর করতে হবে জাপানকে।  জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের অপর একটি সূত্র জানায়, এ অবস্থায় তাদেরকে মোকাবেলায় আমাদের একমাত্র উপায়।

উত্তর কোরিয়ার অগ্রগতির বিপরীতে জাপান নিজেদের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার ও উন্নত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  তবে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স নামক পরিকল্পনাটি এপ্রিলের আগে শুরু করতে পারেনি। এছাড়া ধেয়ে আসা ওয়ারহেড ধ্বংসের প্রযুক্তি তৈরিতে কয়েক বছর লাগতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে জাপান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে চাইলেও ওয়াশিংটন প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। গত সপ্তাহে টার্মিনাল হাই আলটিচ্যুড এয়ার ডিফেন্স (টাড) মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও মার্কিন নিরাপত্তা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার গ্যারি জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান উভয় দেশকে সামরিক সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: রয়টার্স।

/এএ/