হেলিকপ্টারবাহী রণতরী ইজুমু মাত্র দুই বছর আগে কমিশনড হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে যাত্রাপথে রণতরীটি সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় বিরতি নেবে। জুলাই মাসে মালাবর-এ ভারত মহাসাগরে রণতরীটি ভারত ও মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। আগস্টে রণতরীটি জাপানে ফিরবে।
এই বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার রাখেন না জাপানের প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এর লক্ষ্য মূলত ইজুমুর সক্ষমতা যাচাই করা। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেবে।
তবে জাপানের ম্যারিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের বিরোধ চলে আসছে। মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিয়েও মাঝে মধ্যেই চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করে। চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে জলসীমার মালিকানা দাবি করে আসছে তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনেই। এ অঞ্চলটি মৎস্য আহরণের অন্যতম ক্ষেত্র। এছাড়া তেল-গ্যাসসহ বেশ কিছু খনিজসম্পদ রয়েছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামুদ্রিক বাণিজ্য হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরে জলসীমা নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপানের কোনও বিরোধ নেই। তবে পূর্ব চীন সাগরে উভয় দেশের বিরোধ রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/