জাপানে ‘পেইড ডেটিং’ কাজে ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে

জাপানে ‘পেইড ডেটিং’ কাজে ছাত্রীদের অংশগ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ২০১৪ সালে ছাত্রী নির্যাতনের মামলার সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধির পর এ উদ্বেগ জানালো জাতিসংঘ। একই সঙ্গে শিশু  বিশেষ করে দেশটির বিনোদন ক্যাফেগুলোতে কর্মরত তরুণীদের নির্যাতন বন্ধে জাপান সরকারকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে সংস্থাটি। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা খবরে এ কথা জানা গেছে।

noname

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের শিশু পতিতাবৃত্তি ও পর্নোগ্রাফিবিষয়ক বিশেষ দূত মাউদ দে বয়ের পেইডি ডেটিংয়ে দেশটির ১৩ শতাংশ স্কুলছাত্রী অংশ নিচ্ছে বলে জাপান সরকারের ক্ষোভের মুখে পড়েন। যদিও পরে তিনি জানান, এ সংখ্যাটি আনুষ্ঠানিক নয় এবং তিনি চূড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য রাখেননি। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য না থাকা জাপান সরকারের অবহেলাকেই প্রমাণ করেন।

বিভিন্ন দেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের বিনোদনে কিশোর-কিশোরীদের কাজে লাগানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাপানে এটা ভালো ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে শিশুসুলভ যৌন সংস্কৃতি বাড়ছে। আন্দোলনকারীরা এ প্রবণতা বন্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

টোকিও’র আকিহাবারা জেলায় রয়েছে এমনকটি হোশি কসেই (হাইস্কুল গার্ল ক্যাফে)।  এসব ক্যাফেতে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ টাকা দিয়ে কিশোরিদের সঙ্গে বসে কথা বলতে ও গল্প করেন।  এখানে পার্ট টাইম কাজ করেন মাই নামে এক ছাত্রী। মাই বলেন, এসব মানুষদের কয়েকজনের বয়স আমার দাদার সমান। অনেক সময় তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু আমি খোঁজে পাই না।’

এ ক্যাফের মালিক জানান, তারা ১৫-১৮ বছরের মেয়েদেরকেই শুধু কাজে নেন। কইচিরো ফুকুইয়ামা বলেন, মূলত তাদের সুন্দরী হতে হবে। এটা আবশ্যক শর্ত। তাদেরকে স্লিম এবং স্টাইলিশ হতে হবে। এছাড়া তাদের স্মার্টও হতে হবে।

তবে ফুকুইয়ামা দাবি করেন, তার ক্যাফেতে যেসব ছাত্রী কাজ করে তারা পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত না।

নারী অধিকার বিষয়ক সংগঠন লাইটহাউসের মুখপাত্র শাইহোকো ফুজিওয়ারা জানান, এ সংস্কৃতিটি বিব্রতকর। তিনি বলেন, এনজো কসাই (পেইড ডেটিং) প্রবণতা চালু হয়েছে এখানে প্রায় বিশ বছর ধরে। অথচ আমাদের কাছে এ বিষয়ে সরকারি কোনও তথ্য নেই। আমার কাছে বিষয়টি হতাশাজনক।

২০১৪ সাল পর্যন্ত আন্দোলন করে শিশু নির্যাতনের ছবিকে বেআইনী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নির্যাতনের কার্টুন চিত্র দেশটিতে নিষিদ্ধ নয়।  

/এএ/