জাপানে আকিয়াবারা হত্যাযজ্ঞের খুনির দণ্ড কার্যকর

নির্বিচার ছুরি চালিয়ে টোকিওতে সাত জনকে হত্যার দায়ে ৩৯ বছর বয়সী এক পুরুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে জাপান। দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটান টোমোহিরো কাতো নামের এই খুনি।

নিজের ২৫ বছর বয়সে আকিয়াবারা শপিং এলাকায় পথচারিদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দিয়ে তিনজনকে হত্যা করে টোমোহিরো কাতো। পরে ছুরি নিয়ে পথচারিদের হামলা চালিয়ে আরও চার জনকে হত্যা ও আট জনকে আহত করে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে বিচারের সময় আদালতে অপরাধ স্বীকার করে। তার দাবি ছিল অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।

ওই অপরাধটি জাপানের সমাজে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড, অনলাইনের প্রভাব এবং তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগে ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। ঘটনার পর ছুরির মালিকানা আইনও কঠোর করা হয়।

আদালত মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আট বছর পর মঙ্গলবার টোমোহিরো কাতোর দণ্ডাদেশ পালনের নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে জাপান সরকার। এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারমন্ত্রী ইয়োশিদি ফুরুকাউয়া বলেন, ‘মামলাটি সম্পূর্ণভাবে আদালতে বিচার করা হয়েছে এবং আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল মৃত্যুদণ্ড... এই মামলাটি বিবেচনা করার ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি’।

টোকিও ডিটেনশন সেন্টারে টোমোহিরো কাতোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৫ সালে জাপানের সর্বোচ্চ আদালতে হেরে যায় তার আপিল।  গ্রেফতার হওয়ার সময় কাতো পুলিশকে বলেন, ‘আকিয়াবারায় মানুষ মারতে এসেছিলাম। কাকে মারলাম তা কোনও বিষয় নয়’।

কাতোর জন্ম এক সম্পদশালী পরিবারে। পড়াশোনা করেছে শীর্ষ এক হাইস্কুলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে চাকুরি পেতে সমস্যার মুখোমুখি হয়।

সূত্র: বিবিসি