এক বছর পর খোঁজ মিলল আর্জেন্টিনার হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজের

আর্জেন্টিনার একটি ডুবোজাহাজ এক বছর আগে ৪৪ নাবিকসহ হারিয়ে গিয়েছিল। শনিবার দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্রের দুই হাজার ৬২৫ ফুট নিচে এআরএ সান জুয়ান নামের ডুবোজাহাজটির খোঁজ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আটলান্টিকের তলদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটি উদ্ধারের অপেক্ষায় আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নৌবাহিনীর হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজের সন্ধান করতে আর্জেন্টিনা একটি বেসরকারি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তারাই ডুবোজাহাজটির অবস্থান খুঁজে বের করেছে।এআরএ সান জুয়ান

এআরএ সান জুয়ান নামের ডুবোজাহাজটি সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিল। তখন তারা জানিয়েছিল, যে যন্ত্রটি দিয়ে বাইরে থেকে ডুবোজাহাজের ভেতরে বাতাস ঢোকানো হয়ে সেখান দিয়ে পানি ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। আর সমুদ্রের নোনা পানিতে জাহাজের ভেতরে থাকা ব্যাটারিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দেয়।

তারা ডুবোজাহাজটিকে সমুদ্রের ওপরে ভাসিয়ে তুলেছিলেন। তাদের অবস্থান ছিল আর্জেন্টিনার উপকূল থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দূরে। এমন পরিস্থিতিতে তাদেরকে অভিযান স্থগিত রেখে আর্জেন্টিনার একটি বন্দরে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাহাজটি ফিরতে পারেনি গন্তব্যে, ডুবে গেছে দক্ষিণ আটলান্টিকে।

ডুবোজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর ভিয়েনাভিত্তিক ‘নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন’ জানিয়েছিল, তারা শেষ যোগাযোগের কয়েক ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটি শব্দে হওয়ার কথা জানতে পেরেছে। পারমাণবিক বোমার পরীক্ষার ওপর নজরদারি করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া শব্দ রেকর্ডের ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

সান জুয়ানের অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেন ইনফিনিটিকে। তারা সমুদ্রে তলদেশে খোঁজ চালাতে সক্ষম। এর আগে ডুবোজাহাজটিকে উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক পরিসরে ‘সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ’ অপারেশন চালানো হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তাতেই খুঁজে পাওয়া গেল আর্জেন্টিনার ডুবোজাহাজটিকে।

এই ঘটনার পর আর্জেন্টিনার সামরিক খাতের দুরবস্থার বিষয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। প্রতিবেশীদের তুলনায় দেশটির সামরিক ব্যয় তার অর্থনীতির মোট আয়তনের খুবই ছোট একটি অংশ।