কিউবায় বিক্ষোভের সঙ্গে চলছে গ্রেফতারও

কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভের জেরে দেশটির বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভ মোকাবিলার মাধ্যমে বিপ্লবের সুরক্ষায় সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় যে কোনও বিক্ষোভই বিরল ঘটনা। এবারের বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ করোনা সংক্রমণের সময়। বিক্ষোভকারীদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভাড়াটেদের’ দায়ী করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। রাজধানী হাভানায় মিছিল করেছে দেশটির কমিউনিস্ট সরকারের সমর্থকেরাও।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে রয়েছে সাদা পোশাকের কর্মকর্তারাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক, মারপিট, পিপার স্প্রে প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আহত হয়োছন মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস এর ফটোগ্রাফার। এছাড়া দেশটিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

বিরল বিক্ষোভের জেরে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। সেখানে তিনি বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন বিগত কয়েক দশকের জোরালো মার্কিন অবরোধের কারণেই অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে কিউবা। ১৯৫৯ সালের কিউবান বিপ্লব রক্ষায় সমর্থকদের বের হয়ে আসার তাগিদ দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল বলেন, ‘রাজপথে লড়াইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিপ্লবীরা!’

এরপরই লাতিন আমেরিকা বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক জুলি চাং টুইটারে লিখেছেন, ‘কিউবায় লড়াইয়ের ডাক দেওয়া নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ কিউবার শাসকদের সহিংসতা থেকে বিরত থেকে জনগণের দাবি শোনার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিউবার জনগণ সাহসের সঙ্গে মৌলিক ও সার্বজনীন অধিকার বর্ণনা করছেন।’