কলার চালানে মিললো সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার কোকেন

বেলজিয়ামগামী একটি কলার চালান থেকে প্রায় ৮.৮ টন কোকেন উদ্ধার করেছে ইকুয়েডরের পুলিশ। দেশটির পুলিশ কমান্ডার ফাউস্তো সালিনাস বলেছেন, উদ্ধারকৃত মাদক গন্তব্যে পৌঁছালে এগুলোর আনুমানিক মূল্য হতো ৩৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৫১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেশী পেরু ও কলম্বিয়ায় উৎপাদিত কোকেন পাচারের একটি প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে ইকুয়েডর।

গত বছর ২০০ টনের বেশি কোকেন উদ্ধার হয়েছে দেশটিতে। বেশিরভাগ মাদক উদ্ধার হয়েছে গুয়াকিল বন্দর থেকে।

ইকুয়েডর বিশ্বের বৃহত্তম কলা রফতানিকারক দেশ। পাচারকারীরা প্রায়ই তাদের অবৈধ পণ্যের চালান এই ফলের আড়ালে লুকিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর চেষ্টা করে।

সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া কোকেন পাওয়া গেছে বেলজিয়ামগামী কলার একটি কন্টেইনারে। এমন সময় এই মাদক উদ্ধার হলো যখন বেলজিয়ামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনেলিয়েস ভার্লিনডেন ও ইউরোপীয় কমিশনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসন ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া সফরে রয়েছেন। দুই কর্মকর্তা লাতিন আমেরিকার দেশ দুটির সঙ্গে মাদক চোরাচালান বন্ধে লড়াই জোরদার করতে চান।

গত কয়েক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বেলজিয়ামে। অবৈধ মাদকের প্রধান প্রবেশপথে পরিণত হয়েছে এন্টওয়ার্প বন্দর।

এই মাসের শুরুতে ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশনের পরিচালক অ্যালেক্সিস গসডিল বলেছেন, কোকেনের ক্রমবর্ধমান সরবরাহ পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হুমকিতে ফেলেছে।

লোভনীয় এই বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রভাবশালী মেক্সিকোর কার্টেলগুলো বেলজিয়ামে অনুপ্রবেশ করেছে। এর ফলে মাদক চোরাচালান সংশ্লিষ্ট সহিংসতা দেশটিতে বেড়ে গেছে।