আইএসের দখল থেকে ‘পুরোপুরি মুক্ত’ ফালুজা: ইরাকি সেনাবাহিনী

ফালুজা দখলের পথে ইরাকি বাহিনীইরাকের গুরুত্বপূর্ণ শহর ফালুজা এখন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দখল থেকে ‘পুরোপুরি মুক্ত’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার। তিনি জানিয়েছেন, শহরটিতে আইএস-এর সর্বশেষ ঘাঁটিও পুনরুদ্ধার করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী।

রবিবার (২৬ জুন) ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল-ওয়াহাব আল-সাদী জানান, ফালুজার সর্বশেষ আইএস ঘাঁটিটিও এখন ইরাকি বাহিনীর দখলে। শহরটিতে আইএস-এর আর কোনও অবস্থান নেই বলে তিনি দাবি করেন।

আল-সাদী বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া অভিযানটি সম্পন্ন হয়েছে। শহরটি এখন পুরোপুরি মুক্ত।’ এ সময়ে ইরাকি সেনাদের ফাঁকা গুলি করে উল্লাস করতে এবং ইরাকি পতাকা উড়াতে দেখা যায়। তবে এই অভিযানে ক্ষয়-ক্ষতির বিস্তারিত হিসেব এখনও জানা যায়নি।

চলতি মাসের শুরুতে ইরাকের সেনারা ফালুজার সিটি কাউন্সিল ভবনে ইরাকের পতাকা ওড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি শহরটি ‘দখলমুক্ত’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও শহরের মাত্র এক-তৃতীয়াংশই মার্কিন সমর্থিত ইরাকি বাহিনীর দখলে এসেছিল বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। 

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমের এই শহরটি ২০১৪ সালে আইএস দখল করে। চলতি বছরের মে মাসে শহরটি পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে ইরাক বাহিনী এবং শিয়া মিলিশিয়ারা। তবে এখনও ইরাকের মসুল শহরটি আইএস-এর দখলে রয়েছে।

২৩ মে থেকে শুরু হওয়া ফালুজা অভিযানে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তাদের অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। যে কোনও সময় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কান্সিলের মুখপাত্র কার্ল শেমব্রি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে প্রায় ৩৪ লাখ ইরাকি ঘরছাড়া হয়েছেন।  সূত্র: আলজাজিরা।

/এসএ/এএ/