আলেপ্পোকে দখলমুক্ত করার অঙ্গীকার আসাদের

nonameসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ জানিয়েছেন, আলেপ্পোর উত্তরাঞ্চল দখল হবে সন্ত্রাসীদের তুরস্কের ফেরত পাঠানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।  আলেপ্পোর বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, শহরটিতে বিমান হামলা জোরদার করেছে সরকারি বাহিনী।

শুক্রবার রাশিয়ার একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাশার আল আসাদ সিরিয়ার শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিতি আলেপ্পো দখলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, এতে করে সরকার রাজনৈতিক ও কৌশলগত সাফল্য পাবে।

আসাদ বলেন, আমাদের শহরটি মুক্ত করতে হবে এবং সন্ত্রাসীদের তুরস্কের ফেরত পাঠাতে বাধ্য করতে হবে অথবা তাদের হত্যা করতে হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই। এই পদক্ষেপে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে আলেপ্পো।

আসাদ মনে করেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সংঘাতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ বা মাসে আমরা যা দেখেছি তা স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতির তুলনায় বেশি সংঘাত।

সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী তুরস্কের অভিযান সম্পর্কে আসাদ বলেন, এটা দখল এবং এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শুক্রবার জানায়, আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শহরটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলেও যুদ্ধ চলছে।

বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠী দ্য আলেপ্পো মিডিয়া সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুসারে বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন। একাধিক মানুষ ধ্বংস্তুপে চাপা পড়েছেন।

একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার মতে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিরিয়া-রাশিয়ার বিমান হামলায় ৩৭০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে অন্তত ৬৮ জন শিশু।

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে অভিযানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে এবং সম্প্রতি হামলার জোরদার হয়েছে।

আলেপ্পোতে বিমান হামলা ও অভিযান জোরদার করার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমালোচনা মুখর হয়েছে। জোরদার কূটনৈতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শনিবার পুনরায় আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পো। ২০১২ সাল থেকেই সরকার ও বিদ্রোহীরা শহরটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ করে আসছে।