কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা জানায়, পাইলট বিমানটির মধ্যে বোমা থাকার সন্দেহে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। এরপর কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। বিমানটিতে কোনও বোমা আছে কিনা তা অনুসন্ধানে প্রাথমিক তল্লাশি চালানো হয়।
কুয়েতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তল্লাশি চালিয়ে বিমানটিতে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। ইউরোউইংস এয়ারলাইন্সের মালিক লুফথানসা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এ জরুরি অবতরণ। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানান, বিমানে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। বিমানে থাকা ২৮৬ যাত্রী ও ১০জন ক্রুকে বিমান থেকে নামানো হয়। রবিবার রাত পর্যন্ত তাদের জার্মানির একটি হোটেল রাখা হয়। তাদের গন্তব্য জার্মানিতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
মুখপাত্র টাল মাসকাল জানান, যাত্রীদের কুয়েত থেকে জার্মানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একই ধরনের এয়ারবাস এ৩৩০-২৩০ ব্যবহার করা হবে। ক্রুদের বিশ্রামের জন্যই ফ্লাইটটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ জরুরি অবতরণের পর তাদেরকে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়েছে।
ইউরোউইংস আগে জার্মানউইংস হিসেবে পরিচিত ছিল। লুফথানসা কোম্পানির সাশ্রয়ী যাত্রীসেবা দেয় এই ইউরোউইংস। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
/এএ/