ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ: নতুন বসতি স্থাপনে ইসরায়েলের অনুমোদন

ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের প্রতীকী ছবিইসরায়েল সমর্থক হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই ফিলিস্তিনের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বসতি স্থাপনে নতুন করে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। জেরুজালেমের ডেপুটি মেয়র মেইর টার্গমেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বসতি স্থাপনের অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরোধিতার কারণে বসতি স্থাপনে অনুমোদন দিতে দেরি করেছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনে নিন্দা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভোট না দিয়ে বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করেছিল।

রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই নেতানিয়াহু জানান সন্ধ্যায় তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলসহ আমাদের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আছে। সিরিয়া পরিস্থিতি ও ইরানের হুমকিও রয়েছে এর মধ্যে।

জেরুজালেমের নগর পরিষদ পূর্ব জেরুজালেমের পিসগাট জিব, রামাত শ্লোমো ও রামোত এলাকায় নতুন ৫৬৬ টি বসতি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। ডেপুটি গভর্নর বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ না করা পর্যন্ত বসতি স্থাপনে অনুমোদন না দিতে। জেরুজালেমে বসতি স্থাপনে ট্রাম্পের কোনও আপত্তি নেই। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বারাক ওবামার সময়ের মতো আমাদের আর হাত বাঁধা নেই।

তিনি জানান, নেতানিয়াহু তাকে অনুরোধ করেছিলেন অনুমোদন দিতে দেরি করার জন্য।

নতুন বসতি স্থাপনের অনুমতির নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র বলেছেন, নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

এদিকে, তেহরানের দেওয়া ইসরায়েল ধ্বংসের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চাইছে তেল আবিব।  শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছি আমি। ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য ইরান সরকারের পক্ষ থেকে যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।’ সূত্র: বিবিসি।

/এএ/