লিবিয়ায় ২০১১ সালে ন্যাটোর নেতৃত্বে সামরিক অভিযানে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর থেকেই গৃহযুদ্ধ চলছে। লিবিয়ায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি জাতীয় সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন সমর্থন জানিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ইউরোপীয় মিত্র দেশ আশঙ্কা করছে হোয়াইট হাউস লিবিয়ার এ সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে। এ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন ফায়েজ আল-সারাজ এবং ত্রিপোলি থেকেই সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
গোর্কা ইসলামি উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কঠোর নীতির সমর্থকদের একজন। মুসলিম ব্রাদারহুডকে তিনি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে মনে করেন এবং তার আশঙ্কা মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। গোর্কা বিতর্কিত মার্কিন ডানপন্থী পত্রিকা ব্রেইটবার্টের সাবেক সম্পাদক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননের ঘনিষ্ঠ। ব্যানন মনে করেন, ইসলামি উগ্রবাদকে কেন্দ্র করেই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলা উচিত। যদিও গত সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে উপদেষ্টার পদ হারিয়েছেন ব্যানন।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিবিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে নিজের উদ্বেগ ও আশঙ্কার কথা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে তুলে ধরেছেন গোর্কা। লিবিয়াকে তিনটি টুকরোতে ভাগ করার পরিকল্পনা অনুসারে পুরোনো অটোমান প্রদেশ সাইরেনাইকা পূর্বে, ত্রিপোলিটানিয়া উত্তর-পশ্চিমে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে থাকবে ফেজান।
ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের থিংকট্যাংক লিবিয়া বিশেষজ্ঞ মাথিয়া টোয়েলডো বলেন, লিবিয়া সম্পর্কে কতটুকু আপনি জানেন সে সম্পর্কে এটা লিটমাস পরীক্ষার মতো। যদি মনে করেন লিবিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তাহলে দেশটির পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না। সূত্র: গার্ডিয়ান।
/এএ/