ইদলিবে রাসায়নিক হামলার বিষয়টি ‘শতভাগ বানানো’: আসাদ

বাশার আল আসাদসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দাবি করেছেন, তার বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে এমন খবর ‘শতভাগ বানানো’। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের হামলা চালানোরও কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি।

এএফপিকে আসাদ বলেছেন, ২০১৩ সালেই সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বাদ দিয়েছে। এমনকি যদি আমাদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থেকেও থাকে, আমরা তা ব্যবহার করব না।

আসাদ জানিয়েছেন, খান শেইখৌন এলাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত চালানোর অনুমতি তখনই দেবেন যদি নিশ্চিত হয় যে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না।

গত ৪ এপ্রিল তুরস্ক সীমান্ত সংলগ্ন ইদলিব প্রদেশের খান শেইখোন শহরে গ্যাস হামলা। এটি সারিন গ্যাস হামলা ছিল বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। এবারের হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ৮৭। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষলেও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিরীয় সেনাসূত্র ও রুশ কর্তৃপক্ষ। হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়। ওই হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বিদ্রোহীরা ওই রাসায়নিক গ্যাস মজুত করে রেখেছিল। সিরীয় বিমান হামলায় সেই গুদাম আক্রান্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো সিরিয়া ও রাশিয়ার দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

সম্ভাব্য রাসায়নিক হামলার জন্য দেশটির সরকারকে দায়ী করে একটি সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রয়োজনে আরও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন দূত। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/