জ্বালানি স্বল্পতায় বন্ধ গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র

gaza-power-crisis

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পুরো উপত্যকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। বিদ্যুতের অভাবে পানি সংকটেও পড়তে হচ্ছে গাজাবাসীদের। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর খবরে বলা হয়েছে, জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত এই এলাকায় এখন দিনে দুই-তিন ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে স্কুল, হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরো সক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারছে না। এছাড়া গাজার পানির সরবরাহ বৈদ্যুতিক পাম্প নির্ভর হওয়ার ফলে রান্না, ধোয়ামোছার কাজও ঠিকমতো করতে পারছেন না।
গত কয়েক মাস ধরে হামাস কাতার ও তুরস্কের অর্থায়নে ইসরায়েলের কাছ থেকে ডিজেল কিনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত। কিন্তু সম্প্রতি হামাস জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ডিজেল আনার ক্ষেত্রে অন্যায্য করারোপ করেছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষই ডিজেল ডেলিভারি সমন্বয় করত।
সোমবার গাজার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যান ফাতহি আল-শেখ খলিল জানান, গাজা ও পশ্চিম তীর কর্তৃপক্ষের নতুন বিরোধের জের ধরে ডিজেলের সরবরাহ নেই। কবে আসবে তাও নিশ্চিত নয়।
জ্বালানি সংকট না থাকলেও এ কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো, তাতে দিনের আটঘণ্টা আলো পেতেন বাসিন্দারা। চলতি মাসে তা সংকট আকারে পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিদ্যুতের সংকটে রোগীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিক্ষোভ করেন গাজাবাসী। ওই সময় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎের অভাবে উপত্যকার হাসপাতালগুলোর জরুরি কার্যক্রমও বন্ধের উপক্রম হয়।
গাজাবাসীর বিভিন্ন সংকটের মধ্যে জ্বালানি সংকট মাত্র একটি। এ উপত্যকার ৯৬ শতাংশ পানি পানের উপযুক্ত না এবং ৪৬ শতাংশ মানুষ বেকার। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
/এএ/এমএনএইচ/