সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, মহড়ার সময় চার ইসরায়েলি পুলিশ এম-সিক্সটিন (এম-১৬) আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি করতে করতে ‘ফিলিস্তিনির মতো দেখত’ এক ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যান। এ সময় ওই ‘ফিলিস্তিনি’ গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন। কিন্তু পুলিশরা গুলি চালিয়ে যেতেই থাকে। ওই ব্যক্তির নড়াচড়া বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত গুলি চালায় তারা। ‘মৃত্যু’ নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটা করে পুলিশ।
মহড়াটিতে পুলিশ প্রশিক্ষিত ককুরদের ফিলিস্তিনিদের হামলা চালাতে উৎসাহিত করে। এছাড়া জনসভা ছত্রভঙ্গ করার কিছু কৌশলও দেখানো হয়। তবে প্রশিক্ষণে উল্লেখ করা হয়ে, যখন প্রতিবাদকারীরা ইহুদি ধর্মাবলম্বী হবেন তখন এসব কৌশল ব্যবহার করা হয় না।
স্কুলশিশুদের নিয়ে ইসরায়েলি পুলিশের এই মহড়ার একটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে পুরো মহড়া দেখা যায়। ভিডিওতে যে মহড়া দেখানো হয়েছে তা ‘ছুরিহাতে হামলা’র অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার ঘটনার মতোই বাস্তব।
ইসরায়েলের স্থানীয় হারেৎজ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুল শিশুদের বলেন, মহড়ার সময় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য।
এই মহড়াটির পর ব্যাপক সমালোচনারা মুখে পড়েছে ইসরায়েলের পুলিশ। কোমলমতি শিশুদের নিয়ে সহিংস মহড়া চালানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিশুদের নিয়ে ইসরায়েলের পুলিশের এটাই প্রথম সহিংস মহড়া নয়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী গিলাদ এরদান প্রকাশ্যে এমন মহড়া আয়োজনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের তলব করেছেন।
মহড়ার ভিডিও: https://www.youtube.com/watch?v=859jcN2EKhQ
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
/এএ/