‘সন্ত্রাসে অর্থায়নের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-কাতার চুক্তি

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের দোহা সফরের সময় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জুন মাসের শুরুতে কাতারের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার অভিযোগে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করে। সেই অবরোধ এখনও জারি আছে। এরই মধ্যে ‘সন্ত্রাসে অর্থায়নের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

noname

খবরে বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহাতে এক যৌথ সংবাদসম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল থানি উপস্থিত ছিলেন।

কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধে জারির পর সৃষ্ট উপসাগরীয় কূটনৈতিক সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন টিলারসন। চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা টিলারসন কাতারের আগে কুয়েতে অবস্থান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলমান সংকট ও অবরোধের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিটির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, আজ এই প্রথম কোনও দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতার এ ধরনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলো। কাতারের বিরুদ্ধে যেসব দেশ অবরোধ জারি করেছে, সে দেশগুলোকে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের আহ্বান জানাচ্ছি।

চুক্তিটি স্বাক্ষর ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন চিহ্নিত ও রোধে ভূমিকা রাখায় কাতারের প্রশংসা করেছেন টিলারসন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটিই লক্ষ্য—পৃথিবীর বুক থেকে সন্ত্রাসবাদকে বিদায় করা। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার একসঙ্গে সন্ত্রাসের অর্থের উৎস ধ্বংস করতে আরও ভূমিকা রাখবে। সমন্বিতভাবে তথ্যের আদান-প্রদান করবে এবং এই অঞ্চল, আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখবে।

সংবাদ সম্মেলনে চলমান সংকট নিরসনের কোনও সময়সীমা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি টিলারসন। আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ভূমিকা হলো কুয়েতের আমিরের উদ্যোগকে সহযোগিতা করা। মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কুয়েত যেসব বিষয় তুলে ধরেছে, সেগুলো নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করে সম্ভাব্য সমাধান বের করবে।

বুধবার টিলারসন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জেদ্দায় বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, জুন মাসের শুরুতে সন্ত্রাসে মদদের অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেশটিতে অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করে।  কুয়েত সংকট সমাধানে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা নিয়েছে। সর্বশেষ চারটি দেশের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কাতার।সূত্র: আল জাজিরা

/এএ/এমএনএইচ/