জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা, নিহত ১

হামলার পর ইসরায়েলি দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীজর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৩ জুলাই) গভীর রাতের এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, জর্ডানের একজন নাগরিক নিহত এবং একজন করে জর্ডান ও ইসরায়েলি গুরুতর আহত হয়েছেন। 
আহত জর্ডানের দুই নাগরিক একটি আসবাবপত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মী। ঘটনার কিছু সময় আগে তারা দূতাবাসে ঢোকেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গুলিবিদ্ধ জর্ডানের এক নাগরিক ততক্ষণে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।  
ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির একজন প্রতিবেদক জানান, দূতাবাস সংলগ্ন ও এর আশপাশের এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 
অবশ্য তার আগেই দূতাবাসটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার বিষয়ে তারা কোনও মন্তব্য করছেন না। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমের গতিবিধির ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।




আম্মানের সমৃদ্ধ অংশ রাবিয়া এলাকার কাছেই অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসে রয়েছে ব্যাপক সুরক্ষিত ব্যবস্থা। তারপরও এই হামলার ঘটনা হতবাক করেছে সংশ্লিষ্টদের।
জর্ডানের পূর্ব জেরুজালেমে মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র স্থানে ইসরায়েল মেটাল ডিটেক্টর বসানোর ঘটনায় গত ২১ জুলাই আম্মানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানান। মুসলিমদের কাছে এই স্থানটি হারাম আল-শরীফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত।
দুই ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব জেরুজালেমে মেটাল ডিটেক্টর বসানোকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই স্থানের প্রবেশপথে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। এসবের জেরেই দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

/জেএইচ/