ইয়েমেনে বেসামরিক মানুষ হত্যার কথা স্বীকার করলো সৌদি জোট

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলায় ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়াকে ‘কারিগরি ত্রুটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে সৌদি জোটের পক্ষ থেকে।

49a766d26f0a4b5fbfcc6f7a2402572c_18

শুক্রবার ইয়েমেনের সানায় জোটের বিমান হামলায় শিশুসহ ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। শনিবার সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই দুর্ঘটনার কারণ একটি কারিগরি ত্রুটি।

জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুরকি আল-মালকি জানান, অনিচ্ছাকৃত এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য জোট অনুতপ্ত। নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হামলার স্থানটিতে বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার একটি কমান্ড ও যোগাযোগ কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছে হুথি বিদ্রোহীরা।

সানার কাছে একটি হোটেলে বিমান হামলায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার মাত্র দুই দিনের মাথায় শুক্রবারের হামলাটি চালিয়েছিল সৌদি জোট।

ইয়েমেনে সামরিক অভিযানে বেসামরিক মানুষ ও স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ রয়েছে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকরা যখন ঘুমায় তখন বোমা বৃষ্টি শুরু হয়।  গত দুই বছরে সৌদি আরবের অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার জন্য সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্যের গবেষণা পরিচালক লিন মালৌফ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগস্টেই ৫৮জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

২০১৫ সাল থেকেই নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ সালেহ-র সমর্থনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জোটের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৮হাজার ৪০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা।