সৌদি-আমিরাতের অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে প্রতিবেদন, সাংবাদিক বরখাস্ত

সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অস্ত্র সরবরাহের অনুসন্ধানী খবর প্রকাশের পর চাকরি হারিয়েছেন বুলগেরীয় সাংবাদিক দিলিয়ানা গায়তানজিয়েভ।

CG_bFlnWoAAVbXi.jpg large

বৃহস্পতিবার তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে টুইটারে জানিয়েছেন দিলিয়ানা। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বুলগেরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তারা চেষ্টা করেছেন খবরের উৎস জানার।

বুলগেরিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা  ট্রুড-এ দিলিয়ানার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পূর্ব ইউরোপে উৎপাদিত অস্ত্র সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সরবরাহ করেছে।  চূড়ান্ত গন্তব্য গোপন রাখতে উভয় দেশ বিভিন্ন মাধ্যম ও কূটনৈতিক চরিত্র দিয়ে এসব অস্ত্র পাঠিয়েছে।

দিলিয়ানা দাবি করেছেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও বেশ কয়েকটি দেশ আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত বিমান সংস্থা সিল্কওয়ে এয়ারলাইন্স ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠিয়েছে। এসব অস্ত্র শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের আইএস ও কুর্দি যোদ্ধা আফ্রিকার কিছু গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছায়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে দিলিয়ানা জানান, সিরিয়ার যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি দেখতে পান বুলগেরিয়ায় নির্মিত অস্ত্র আলেপ্পোর সন্ত্রাসীদের কাছে রয়েছে। এরপরই তিনি এসব অস্ত্রের উৎস খোঁজ করতে শুরু করেন। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ের বেরিয়ে আসে, বুলগেরিয়ার অস্ত্র নির্মাতারা বৈধভাবেই সৌদি আরবের কাছে এসব অস্ত্র রফতানি করেছে। পরে যা সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছেছে।

রবিবার আল জাজিরাকে দিলিয়ানা জানান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সিল্ক ওয়ে এয়ারলাইন্সকে ব্যবহার করে কূটনৈতিক ফ্লাইটে সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করা। সূত্র: আল জাজিরা।