ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিন গড়তে গাজার প্রশাসন বিলুপ্ত করলো হামাস

ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিন গড়ে তুলতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের ঘোষণা দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস। এ লক্ষ্যে হামাস গাজার প্রশাসনকে বিলুপ্ত করেছে এবং সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

1509003-no-1505635081-438-640x480

ফিলিস্তিনে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ওই সময় হামাস অপ্রত্যাশিত জয় পায়। এরপর সেখানে রাজনৈতিক বিভক্তি প্রকট হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে হামাস ও ফাতাহ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই হামাস ছোট উপকূলীয় ছিটমহল গাজা শাসন করে আসছে।

২০১১ সাল থেকে ফিলিস্তিনের বিবদমান দুই গোষ্ঠীকে একত্রিত করার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে গাজা ও পশ্চিম তীরের শাসকদের একীভূত করার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ সালে হামাস ও ফাতাহ একটি একীভূত সরকার গঠনে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির পরও গাজা উপত্যকায় হামাসের ছায়া সরকার নিজেদের শাসন অব্যাহত রাখে।

রবিবার এক বিবৃতিতে গাজার প্রশাসন বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছে হামাস। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজা পরিচালনার জন্য একীভূত সরকারকে অনুমতি দেবে। এছাড়া হামাস নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ফাতাহ’র সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মতি জানিয়েছে।

ফাতাহ’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা মাহমুদ আলাউল হামাসের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বলেন, হামাসের যদি এমন হয় তাহলে তা একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। আমরা ফাতাহ মুভমেন্ট একীভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।

গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে মাহমুদ আব্বাস গাজার বিদ্যুৎ পরিশোধ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর ফলে গাজায় দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কখনোই ছয় ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পেতেন না গাজাবাসী।

এই বিষয়ে মাহমুদ আব্বাসের প্রতিনিধি বা ফাতাহ মুভমেন্টের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল রয়টার্সের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

কয়েকটি জনমত জরিপ অনুসারে, এই মুহূর্তে যদি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে গাজা ও ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিমতীরে জয় পেতে পারে হামাস। পশ্চিমা সমর্থিত আব্বাসের বয়স এখন ১২ বছর। ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। জরিপ অনুসারে আব্বাসের জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে গেছে। দলে তার কোনও উল্লেখযোগ্য উত্তরাধিকার নেই। এছাড়া শিগগিরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কোনও প্রস্তুতিও নেই আব্বাসের। সূত্র: রয়টার্স।