৩ দিন খোলা থাকার পর আবার বন্ধ হচ্ছে রাফাহ সীমান্ত

তিন দিন উন্মুক্ত পর ফিলিস্তিনের গাজার রাফাহ সীমান্ত আবার বন্ধ করছে মিসর। হামাস ও ফাতাহ’র মধ্যে সমঝোতা চুক্তির অংশ হিসেবে সীমান্তটি উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

721e00fd33ca4fe1830ad81905ad8738_18

ফিলিস্তিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরেই গাজার প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা সীমান্তটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই বছরের আগস্ট মাস থেকে গাজার সঙ্গে মিসরের এই সীমান্ত পথ বন্ধ করা হয়েছিল। এর আগেও তা এক বছরের মতো বন্ধ ছিল। এ বছর এ পর্যন্ত সীমান্তটি মাত্র ১৪ দিন উন্মুক্ত রাখা ছিল।

মিসরের মধ্যস্থতায় হওয়া নতুন চুক্তির অনুসারে, ২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো হামাস সীমান্তটির নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। দায়িত্ব হস্তান্তরের পর শনিবার মিশর সীমান্তটি খুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে সীমান্তটি নিয়মিত খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন সমঝোতা চুক্তি অনুসারে, আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে হামাস গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে। এর প্রথম ধাপ হিসেবে ১ নভেম্বর তারা সীমান্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করে।

গাজার গণপূর্ত ও গৃহায়নমন্ত্রী মুফিদ আল হুসাইনেহ জানান, শনিবার রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়ে এটার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরই ছিল সমঝোতার সরকারের প্রথম কাজ। তিনি বলেন, ‘যৌথ সরকার এটার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’

এর আগে শুক্রবার গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মাজিদ ফারাজ হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইয়াহিয়া সিওয়ারের সঙ্গে আলোচনা করেন। সমঝোতা প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিতে ফিলিস্তিনের সব দল শিগগিরই কায়রোতে মিলিত হবে।

হামাসকে নিঃসঙ্গ করে ফেলতে গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল ও মিসর গাজা সীমান্ত অবরোধ করে রেখেছিল। অবরোধ, তিনবার ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চাপে পড়ে অবশেষে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। তবে এতোদিনে গাজার মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় চরম আকার নিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই ছিটমহলটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘উন্মুক্ত কারাগার’ বলা হয়। এখানকার ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র,  ৫৮ ভাগ যুবক বেকার আর প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ খাবারের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর নির্ভর করে। সূত্র: আল জাজিরা।