‘উগ্র ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র বিরুদ্ধে লড়ছে ইসরায়েল-মিসর: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল, মিসর ও কয়েকটি দেশ উগ্রপন্থী ইসলামের সন্ত্রাসবাদী অংশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। রবিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের গোপন সম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমে আসার পর এবার মিসরের সঙ্গে সহযোগিতার কথা জানালেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিসরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ মিসর ও ইসরায়েলসহ আরও কয়েকটি দেশ উগ্রপন্থী ইসলামের সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছে বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্য দিয়ে ইসায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপকৃত হচ্ছে।

মন্ত্রিসভায় নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এই অবদান ‘শান্তির চক্র’কে আরও বিস্তৃত হতে সহযোগিতা করবে।

বৈঠকের শুরুতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনওয়ার আল-সাদাতের ইসরায়েল সফরের ৪০ বছর পূর্তির কথা জানান। তিনি বলেন, আজ আমরা মিসরের প্রেসিডেন্ট আনওয়ারের ঐতিহাসিক জেরুজালেম ও ইসরায়েল সফরের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপর থেকে মিসরের সঙ্গে শান্তি চুক্তির উত্থান-পতন হয়েছে।

১৯৭৯ সালে ইসরায়েল ও মিসরের শান্তিচুক্তির পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। সম্প্রতি তা আরও উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। হিব্রু পত্রিকা মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আল-সিসিকে ইসরায়েলের জন্য ‘কৌশলগত সম্পদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, সপ্তাহজুড়ে আমরা অনেক জল্পনা শুনছি। এগুলো নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। আমি বলতে চাই, এসব পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আমার অবস্থান হবে। আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের আমরা তা স্পষ্ট করেছি।

শনিবার ইসরায়েলের একটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে একটি শান্তি পরিকল্পনা করছে। ওই সূত্র দাবি করে, নেতানিয়াহু চান, ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতা ঘোষণা করুক। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

রবিবার সৌদি আরবের সঙ্গে গোপন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিৎয। এর আগে সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল সরাসরি সৌদি আরবের নামোল্লেখ না করে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের আভাস দেয়। আর ক’দিন আগে ইসরায়েলি সামরিক প্রধান দুই দেশের সম্ভাব্য সামরিক তথ্য বিনিময়ের কথা বলেন। তবে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।