সৌদি আরবের ‘আশা’ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিবে না যুক্তরাষ্ট্র

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিবে না বলে ‘আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। যদিও তারা সতর্ক করে জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্তের গুরুতর প্রভাব পড়বে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ’র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জেরুজালেম

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই স্বীকৃতি সব মুসলিমের অনুভূতির উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে এবং তা হবে উস্কানিমূলক।’ এতে আরও বলা হয়,  ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিবেচনা করা উচিত। সৌদি আরব আশা করে ফিলিস্তিনি ইস্যুর সমাধানের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতার ক্ষতি করবে এমন সিদ্ধান্ত তারা নেবে না।’

সোমবার ওয়াশিংটনে নিযু্ক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেন, চূড়ান্ত সমঝোতার আগে জেরুজালেমের মর্যাদা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও ঘোষণা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনাকে ব্যাঘাত করবে। এটা আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াবে।  

প্রিন্স খালিদ বিবৃতিতে আরও বলেন, সৌদি আরবের নীতি ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষেই আছে ও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবে সৌদি আরব।’  

ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পবিত্র ধর্মীয় স্থান জেরুজালেম। দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করলেও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প। তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৪ ডিসেম্বর সময়সীমা পার হয়ে গেছে। সোমবার ট্রাম্প দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা না দেওয়ায় দেশটির আইন অনুযায়ী আরও ছয় মাসের মধ্যে দূতাবাস সরছে না। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার খবর প্রকাশের পরও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।