ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক ইসরায়েলি বাহিনী

জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার পর শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় ধরনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের আশঙ্কা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ জন্য দেশটির বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।

পূর্ব জেরুজালেমে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল

খবরে বলা হয়েছে, জেরুজালেমে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পশ্চিম তীরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আল আকসায় মুসলমানদের নামাজের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি। সহিংসতার আশঙ্কা বেশি হলে ৬০ বছরের কম বয়সী নারী-পুরুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

শুক্রবার থেকে নতুন ইন্তিফাদারও ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস। দেশটির গোয়েন্দাদের পূর্বাভাস অনুসারে, শুক্রবারের বিক্ষোভে লক্ষাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করতে পারে। ইসরায়েলি সেনারা ‘লোন উলফ’ হামলার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

শুক্রবার সকালে তেল আবিব থেকে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর অভিমূখী বেশ কিছু যানবাহনে পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। যানবাহন সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে পুরো ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর। ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের দমনে বলপ্রয়োগ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।